চুয়াডাঙ্গায় একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে শুরু হয়েছে চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় শৈত্যপ্রবাহ।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
এদিকে হাড় কাঁপানো শীত ও উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনপদ। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, বুধবার (৮ জানুয়ারি) এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে একদিনের ব্যবধানে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে জেলার তাপমাত্রার পারদ নেমে এসেছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এ অবস্থায় কষ্টে আছেন শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষেরা।
চুয়াডাঙ্গা শহরের চৌরাস্তার মোড়ের চা দোকানি আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘জব্বর (খুব) শীত পড়ছে। সবকিছু ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। সকাল-সন্ধ্যা কুয়াশা আর শীত। বেচা-কেনা নেই। খুব কষ্টে আছি।’
চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্ট মোড় এলাকার পুরোনো কাপড় বিক্রেতা হাবু মিয়া বলেন, ‘শীতের শুরুতে বেচা-কেনা তেমন ছিল না। এখন বিক্রি বাড়ছে।’
আরও পড়ুন: দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় বিশ্বে ‘দ্বিতীয়’ ঢাকা
শীতার্ত ও অসহায় মানুষের মধ্যে কম্বলসহ শীতের গরম কাপড় বিতরণ অব্যাহত রয়েছে বলে জানান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, এ মৌসুমে এ জেলায় সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি এ যাবতকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি।